প্রতিপক্ষ বিশ্লেষণঃ গ্রানাডা

জাতীয় দলগুলোর খেলার বিরতি থেকে আবারো বাংলাদেশ সময় রবিবার(আজ) রাত ৯ টায় ফিরছে রিয়াল মাদ্রিদ। আজ আমাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে এই মৌসুমে লা লীগায় নিজেদের ধুঁকতে ধুঁকতে খুঁজতে থাকা গ্রানাডা। আজকের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে তাদেরই মাঠ এস্তাদিও দে লস কারমেনেসে।

ম্যাচ পূর্ববর্তী অবস্থা:
এই ম্যাচের আগের ইতিহাস অনুযায়ী গ্রানাডা কোনভাবেই সস্তিতে নেই এই মাচের আগে। রিয়াল মাদ্রিদ তাদের বিরুদ্ধে শেষ ১২ ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে। নিজেদের মাঠে তারা শেষ ৫ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে গড়ে ২.৫ গোল হজম করেছে। গ্রানাডার মাঠে শেষ ৬ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ জয় নিয়ে ফিরেছে। এছাড়াও শেষ ৭ ম্যাচে গড়ে রিয়াল মাদ্রিদ ২ গোল করে দিয়েছে গ্রানাডাকে। তাই বলাই বাহুল্য যে এই ম্যাচের আগে ইতিপূর্বের ইতিহাস গ্রানাডার পক্ষে কথা বলছে না।

গ্রানাডা তাদের শেষ ৫ ম্যাচে মাত্র ২ টিতে জিতেছে এবং বর্তমানে খুব একটা ভালো পজিশনে নেই। তারা বর্তমানে রেলিগেশন ব্যাটেলে আছে এবং তারা আজ রাতে ১ পয়েন্ট বের করে আনার জন্যই মূলত রিয়াল মাদ্রিদের সাথে খেলতে নামবে। তবে তাদের শেষ ৫ ম্যাচে ২ টি জয় দেখে তাদেরকে অবহেলা করাই যাইয় মনে হলেও তাদের এই ২ জয়ের একটি এসেছে সেভিয়ার সাথে এবং অপরটি লেভান্তের সাথে। তাই আজ রাতে আমাদের যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে।

ইনজুরি অবস্থা:
গ্রানাডা দলে রয়েছে ৩ টি ইনজুরি। ডমিংগজ দুয়ার্তে এই ম্যাচটি ইনজুরির জন্য মিস করবেন এবং রুইজ ও মিইয়া এই ম্যাচটি খেলবেন কিনা এটি নিয়ে এখনও সন্দেহ আছে ইনজুরিজনিত কারণে। এছাড়া একটি ইনজুরিবিহীন স্কোয়াড নিয়েই তারা আমাদের বিরুদ্ধে নামতে যাচ্ছে একরকম বলাই যায়।

প্রতিপক্ষের দুর্বলতা:
গ্রানাডার প্রধান দুর্বলতাই আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা এই মৌসুমে গোল স্কোরিং এ কার্পণ্য যেমন করছি না তেমনি অপনেন্টকে গোল দিতেও পিছপা হচ্ছি না। তবে গ্রানাডা এই জায়গাটায় খুবই দুর্বল। তাদের শট কনভার্শন রেট খুবই বাজে বলতেই হচ্ছে। তাদের এই মৌসুমের সবচেয়ে বেশি গোল করা সুয়ারেজ ২৩ শটে মাত্র ৩ গোল করেছেন এবং তার এই শটগুলো গড়ে ১৬ ইয়ার্ডের ভেতরেই ছিল। তাই আমরা প্রতিনিয়ত রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে অপনেন্টকে ট্যাপইন যেভাবে স্কোর করতে দেখি সেটি হয়তো আজ রাতে দেখা লাগবে না। অপরদিকে গ্রানাডাও গোল খেতে কার্পণ্য করে না। তারা এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৬ গোল হজম করেছে।
গ্রানাডার আরেকটি দুর্বলতা আজকে আমাদের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে এবং সেটি তাদের এরিয়েলি দুর্বলতা।

প্রতিপক্ষের শক্তি:
তাদের মুল অস্ত্র পসেশন। তারা প্রতিটি ম্যাচেই পসেশন ধরে রেখে খেলার চেষ্টা করে। দলের সবচেয়ে বেশি পাস কমপ্লিট করা দুইজন খেলোয়াড় মিইয়া। তাই তার উপর বল ঘুরানোর দায়িত্বটা থাকবে বলাই যায়। যদি আমরা তাদের খেলোয়াড়দের টাচের পজিশনগুলোও দেখি তাহলে দেখতে পাবো সবচেয়ে বেশি টাচ এই মিয়ার। তিনি মিডিল থার্ডে ২৮৯ টি টাচ নিয়েছেন। তাই আজ রাতে তিনি যদি ইনজুরির কারণে না নামতে পারেন তাহলে সেটি গ্রানাডার জন্য বড়রকমের একটি ধাক্কা হতে চেলেছে।

Cover image from the internet.

You May Also Like